Articles

Thu, Aug 24 2023
ওয়েব টেলিস্কোপের নতুন ছবি প্রকাশ করলো নাসা। দূরবর্তী মহাজগতের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিয়ে বিশ্বকে  স্তম্ভিত করার এক বছর পর নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে নতুন ছবি  প্রকাশ করেছে। টেলিস্কোপটি ৩৯০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত পৃথিবীর নিকটতম  তারকা-গঠন অঞ্চলের একটি অত্যাশ্চর্য নতুন চিত্র ধারণ করেছে। জেমস  ওয়েব কক্ষপথের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে  ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে  দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এর  ধারণ করা প্রথম পূর্ণ রঙিন ছবি ২০২২ সালের ১১ জুলাই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন  উন্মোচন করেন। এটি ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের আদি মহাবিশ্বের এখনো পর্যন্ত  সবচেয়ে পরিষ্কার দৃশ্য। পরবর্তী ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্যারিনা নেবুলা নামক মহাকাশের  একটি অঞ্চলে ‘পর্বত’ এবং ‘উপত্যকা’ সদৃশ্য নতুন তারকা-গঠনকারী অঞ্চলের ছবি,  যাকে কসমিক ক্লিফস বা জায়ান্ট গ্যাসীয় মণ্ডল বলা হয় এবং একটি মহাজাগতিক  বৃত্তে আবদ্ধ পাঁচটি ছায়াপথের একটি দল, যাকে বলা হয় স্তেফানের কুইন্টেট।  পেগাসাস নক্ষত্রমণ্ডলে এই গ্যালাক্সি জোটের অবস্থান। এটি প্রথম ১৮৭৭ সালে  এদোয়ার্দস্তেফান আবিষ্কার করেন। ইস্টার্ন টাইম সকাল ৬:০০ টায়  (১০০০জিএমটি) নাসার ওয়েবসাইটে এগুলো দেখা যাবে। ওয়েব টেলিস্কোপে ২১ ফুট  (৬.৫ মিটার) এরও বেশি পরিমাপের একটি প্রাইমারি মিরর রয়েছে, যা ১৮টি  ষড়ভুজাকার সোনার প্রলেপযুক্ত অংশ একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে। এর পূর্বসূরি  হাবলের বিপরীতে, এটি প্রাথমিকভাবে ইনফ্রারেড বর্ণালিতে কাজ করে। এটিকে  সময়ের শুরুতে আরো কাছাকাছি ফিরে তাকানোর সুযোগ দেয় এবং ধূলিকণার মেঘগুলোকে  আরো ভালোভাবে প্রবেশ করতে দেয় যেখানে তারা এবং গ্রহের সিস্টেমগুলো এখনো  তৈরি হচ্ছে। মূল  আবিষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে বিগ ব্যাং-এর কয়েক শ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত  প্রথমদিকের কিছু ছায়াপথ। আমাদের বাইরের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে  কার্বন ডাইঅক্সাইড খুঁজে পাওয়া এবং আমাদের সৌর জগতের বৃহস্পতি গ্রহের  অত্যাশ্চর্য নতুন দৃশ্য। জ্যোতির্বিদ্যার একটি নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে  ২০ বছরের দীর্ঘ মিশনের জন্য ওয়েবের যথেষ্ট জ্বালানি রয়েছে। Source:  Zoom Bangla Collected by: SH. Arif
Thu, Aug 24 2023
প্রথমবার আদি মহাবিশ্ব ‘স্লো-মোশনে’ দেখলেন বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো মহাবিশ্বের আদি অবস্থা ‘এক্সট্রিম স্লো-মোশনে’ পর্যবেক্ষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। মহাবিশ্বে ‘কোয়াসার’ নামে পরিচিত বিশালাকারের উজ্জ্বল বস্তুর ডেটা ব্যবহার করে এটি সম্ভব করেন গবেষকরা। এগুলো পৃথিবী থেকে এতটাই দূরে, এত উজ্জ্বল আর বিশাল যে জ্যোতির্বিদরা এগুলোকে ‘বাতিঘর’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কোনো কোয়াসারের আলো মহাবিশ্বের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করার সময় নক্ষত্র থেকে শুরু করে ছায়াপথসহ সবকিছুরই ইতিহাস তুলে নিয়ে আসে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা প্রায় দুই দশক ধরে ১৯০টি কোয়াসার পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং এ থেকে পাওয়া ডেটা নিয়ে কার্যত ‘মহাবিশ্বের ঘড়ি’ বানানোর চেষ্টা করেছেন, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে তুলনা করা চলে টিকটিক করে চলা ঘড়ির কাঁটার ধাপের সঙ্গে। টেলিস্কোপে দেখতে পাওয়ার আগে এইসব কোয়াসারের আলো কয়েকশ কোটি বছর মহাকাশ ভ্রমণ করেছে, যেগুলো গবেষণা দলকে মহাবিশ্বের শুরুর সময়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ। এই পুরো প্রক্রিয়া আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এতে বলা হয়েছে, কীভাবে স্থান ও কাল ভেদে সময় ভিন্নভাবে প্রবাহিত হয়। এর মানে দাঁড়ায়, কোনো ব্যক্তির কাছে একটি সময় ঘটে যাওয়া ঘটনা অন্যের জন্য ভিন্ন সময়ে ঘটতে পারে। এর ফলে, দূরের বা প্রাচীন মহাবিশ্বের সময় বর্তমান সময়ের তুলনায় ধীরগতিতে চলা উচিৎ। ‘আদি সময়কে টেনে আনার চেষ্টা’ “আইনস্টাইনের কল্যাণে আমরা জানি যে সময় ও স্থান একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আর সময়ের শুরুতে ‘বিগ ব্যাং’-এর একক বিন্দু থেকে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে।” --বলেন ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি’র অধ্যাপক গেরেন্ট লুইস। “সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের মানে দাঁড়ায়, আদি অবস্থার মহাবিশ্বে সময় বর্তমানে প্রবাহিত সময়ের তুলনায় অনেক ধীরগতির। এই গবেষণায় বিং ব্যাং ঘটার প্রায় একশ কোটি বছর পরের ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি আমরা।” লুইস বলেন, প্রায় এক হাজার তিনশ ৮০ কোটি বছর আগের বিগ ব্যাং ঘটার পরপরই মহাবিশ্বে সময় বর্তমান সময়ের এক পঞ্চমাংশ গতিতে প্রবাহিত হয়েছে। “আপনি শুরুর দিকের মহাবিশ্বে থাকলে সেখানে এক সেকেন্ড এক সেকেন্ডই মনে হবে। তবে আমাদের অবস্থান থেকে, মানে এক হাজার দুইশ কোটি বছর পরে এসে ওই এক সেকেন্ড মনে হবে যেন টানছে।” ---বিশ্লেষণ করেন তিনি। অধ্যাপক লুইস ও তার সহকর্মী ইউনিভার্সিটি অফ অকল্যান্ডের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. ব্রেন্ডন ব্রিউয়ার এই অনুসন্ধান প্রকাশ করেছেন ‘নেচার অ্যাস্ট্রনমি’ জার্নালে। Source: BDNEWS24 Collected by: SH. Arif
Thu, Aug 24 2023
পৃথিবীতে থেকেও মঙ্গল গ্রহের মাটিতে বসবাস! চারজন মানুষ। বাস করছেন ‘মহাকাশের লাল লণ্ঠন’ মঙ্গলগ্রহে! না, কোনও কল্পবিজ্ঞান গল্পের কথা হচ্ছে না। সত্যি সত্যিই মঙ্গল অভিযানে রয়েছেন তারা। তবে এখানে এখানে একটা ‘কিন্তু’ রয়েছে। আসলে এই মঙ্গল পৃথিবীর মাটিতেই অবস্থিত। প্রথমবার চাঁদে পা রাখার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ দশকেরও বেশি। নতুন করে চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। সেই সঙ্গেই মঙ্গলের মাটিতেও মানুষের পা পড়ুক, চাইছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে চারজন মানুষকে তৈরি করা হচ্ছে মঙ্গল অভিযানের জন্য। এবং সেটা পৃথিবীতেই। যুক্তরাষ্ট্রের হাউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে ১ হাজার ৭০০ বর্গফুটের এক ত্রিমাত্রিক ‘মঙ্গলগ্রহ’ তৈরি করা হয়েছে। অবশ্যই মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে। আর সেখানেই ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার রস ব্রকওয়েল, মেডিক্যাল অফিসার নাথান জোন্স, সায়েন্স অফিসার আঙ্কা সেলারিউ এবং দলের নেতা কেলি হাস্টনের আপাতত দিন কাটাচ্ছেন। মঙ্গলে সত্যি সত্যি মানুষ পাঠাতে হলে কী কী প্রতিকূলতা ও সমস্যা তৈরি হতে পারে, সেগুলির মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। কী কী কাজ করতে হচ্ছে তাদের? শস্য উৎপাদন, খাদ্য প্রস্তুত, যন্ত্র সারাই, ব্যায়াম, বিজ্ঞানের কাজ এবং ঘুমের মতো নানা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন ওই চারজন। নাসার তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। ওড়াতে হচ্ছে হেলিকপ্টারের মতো ড্রোন ও রোভিং রোবটও। চেষ্টা চলছে মঙ্গলে যে ধরনের শারীরিক ও মানসিক প্রতিকূলতায় পড়তে হবে নভোচরদের, তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এবছর মঙ্গলে অভিযান চালাবে নাসা। পরে ২০২৫ ও ২০২৬ সালেও হবে অভিযান। তবে এখনই মানুষ পাঠানো হচ্ছে না। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতেই এই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তার আগে হাতেকলমে নভোচরদের তৈরি করার কাজ শুরু করে দিল নাসা। Source: Zom Bangla Collected by: SH. Arif
Thu, Aug 24 2023
চাঁদ পৃথিবীর একটি উপগ্রহ। এটি পৃথিবী থেকে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে মহাশূন্যে ঘুরছে। এবং এটি আকারে পৃথিবীর ৫০ ভাগের এক ভাগ। এতে আছে ছাই, পাথর, পাহাড়, গুহা এবং সমুদ্রের বিশাল বড় বড় খাদ। চাঁদে পানি এবং বাতাস নেই। সেখান আজ পর্যন্ত প্রাণের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মহাশূন্যে ভাসমান উড়ন্ত পাথরের আঘাতে প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত হয় আমাদের ভালোলাগার প্রিয় চাঁদ। কিন্তু দূরত্বের কারণে পৃথিবী থেকে চাঁদের দুঃখজনক চেহারা আমরা দেখতে পাইনা। চাঁদে বায়ুমন্ডল নেই বলে চাঁদ নিজ দেহকে মহাজাগতিক পাথর খণ্ড বা গ্রহাণুপুঞ্জের সরাসরি আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারেনা। তাই সমগ্র চাঁদের পৃষ্ঠ মহাকাশীয় পাথর এবং ধূমকেতুর আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে যদি চাঁদের বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন তৈরি হয় তবেই চাঁদকে বিভিন্ন ধরনের উল্কার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। Collected by: SH. Arif
< Back to Home